হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: জনাব মুস্তাক আহমদ সাহেব (সত্যের পথে) হাওজা নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন: আমরা আসলে খাদ্য না খেয়ে ড্রাগস খাচ্ছি যার কারণে আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে।
আল্লাহপাক প্রকৃতিতে মানব শরীরের জন্য "খাদ্য ও পথ্য" সৃষ্টি করেছেন ৷
আল্লাহর সৃষ্টি কুদরতি "খাদ্য ও পথ্য" এর বৈশিষ্ট হল মানব শরীরের কোষে তা Digest ডাইজেষ্ট (হজম) ৷
আর ড্রাগসের বৈশিষ্ট হলো মাণব শরীরের কোষে হজম হয় না, বরং জমা হয়, যাকে ইংরাজীতে Abzorb বলে ৷ মোটেও হজম হয় না ৷ আমরা জানি এলোপ্যাথি ঔষধ খাদ্য(food) নয় ৷ তা সম্পূর্ণটাই ড্রাগস ৷
এলোপ্যাথির সিস্টেমটাই জন্মগত ত্রুটি ৷ এলোপ্যাথি হলো "ড্রাগস" ৷
"ড্রাগস" মানব শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের শরীরে কোষে জমা হয় ৷
১৯২০ সালের সমসায়কি সময়ের দিকে এই এলোপ্যাথির জন্ম ৷ বিশ্ব যুদ্ধের সময় দ্রুত সুস্থ করার জন্য এলোপ্যাথি আমদানি করা হয় ৷
পরবর্তিকালে এই ড্রাগসের মাধ্যমেই প্রধান চিকিৎসা হিসাবে প্রমোট করে ৷
কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে ব্যাপক ভাবে মানব শরীরের সমস্ত রোগ চিকিৎসার জন্য সৃষ্টি হয় নি ৷
আসলেই এটি বিষ ৷ এতে রোগ নিরাময় হয় না ৷ বরং যেটা হয়, তাহলঃ হঠাৎ কষ্ট লাঘব হয় ৷ যেমন যুদ্ধের সময় লাগু করা হয় ৷
ঐ হঠাৎ কষ্ট লাঘবের মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন নতুন রোগের জন্ম হয় ৷ অর্থাৎ যেহেতু ড্রাগস মানব শরীরে হজম হয় না, তাই শরীরে জমা হতে হতে বিভিন্ন কোষে রোগ সৃষ্টি হয় ৷
আল্লাহপাক আমাদের অতি সহজে যা দিয়েছেন তাহল খাদ্য ও পথ্যের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার ঐশী প্রদ্ধতি ৷
মানুষ যখন আল্লাহর প্রকৃতিতে কোন কিছু খায়, তখন সেটি হয় খাদ্য ৷ আর সেই খাদ্য যখন সময়-জ্ঞান, পরিমান-জ্ঞান বা অনুপাত-জ্ঞান দ্বারা খায় সেই খাদ্য পথ্য হয় ৷
কুদরত শরীরে গেলে হজম হয়, আর হজমের মাধ্যমে মানুষ সুস্থ থাকে ৷ কেননা হমজ হবার ফলে তার ভিতরে যে গুণাবলিগুলি আল্লাহ দিয়েছেন, তা তিনি জানেন, তিনিই তো মানব শরীর সৃষ্টি করেছেন ৷
আর একটি বিষয় মনে রাখতে হবে ...ফ্যকটরি (কারখানা) থেকে প্রস্তুত প্যাকেট, ডিব্বা, ইত্যাদি প্যাকিং যত প্রকার বাজারে 'খাদ্য' হিসাবে পাওয়া যাচ্ছে, এগুলি খাদ্য নয়, বরং এগুলি Type of Drugs.
কারখানা দ্বারা প্রস্তুত ম্যাকানিকাল যত প্রকার খাদ্য হিসাবে চলছে ...সবগুলিই ড্রাগস ৷ এগুলিও নামব শরীরে প্রবেশের ফলে হজম হয় না ৷ শরীরের কোষে কোষে জমা হয় ৷ যার ফলে হাজারো রোগ সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের শরীরে ৷
প্যাকেট জাতীয় কারখানা প্রস্তুত খাবারের নামে যা আমরা খাচ্ছি, আসলে সবগুলিই ড্রাগস ৷
এই ড্রাগস যেহেতু শরীরে গিয়ে হজম হয় না, তাই শরীরের জমা হতে থাকে, যেটি জমা হয়ে বিষ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে, এই বিষকে ডাক্তারী ভাষায় টক্সিণ বলে ৷ এরফলে শরীরে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করে ৷
আজ আমরা এত রুগি কেন ?? এর জবাব হলো আমরা আল্লাহর তৈরী খাদ্য খাচ্ছি কম, বরং সদাসর্বদা ড্রাগস খাচ্ছি বেশী ৷ আর ঐ ড্রাগসগুলি শরীরে রোগের সৃষ্টি করে ..জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রুগী হয়েই কোন রকমে বেঁচে আছি ৷
অপর দিকে ডাক্তার আমাদের প্রচুর টাকা লুটে আমাদের পথের ভিখারী করে ছাড়ছে ৷